বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
আমতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা অর্ধ-শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এমন অভিযোগ করেছেন। দ্রুত নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।
জানাগেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৯ জন প্রিজাইডিং, ৫৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ১১৮ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা টাকার বিনিময়ে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন। যারা টাকা দেননি তাদের তিনি নিয়োগ দেয়নি। এ বিষয়ে অর্ধ শতাধিক শিক্ষক বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।
কুকুয়া গোজখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আলম বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার সেলিম রেজা টাকার বিনিময়ে প্রিজাইর্ডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমি আতিকুর রহমান, রোকসানা আক্তার ও তুলি বেগমের ঘুষ টাকা নির্বাচন অফিসারের কাছে দিয়েছি। তারা তিনজনই এ নির্বাচনে নিয়োগ পেয়েছেন।
আঠারোগাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আখতারুজ্জামান খান জাকির বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা সেলিম রেজা আমার কাছে টাকা দাবী করেছেন। আমি টাকা দেয়নি। তাই তিনি আমাকে নির্বাচনী দায়িত্ব দেননি।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির আমতলী শাখার সভাপতি সফিকুল ইসলাম বলেন, টাকা ছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তা কাউকে নির্বাচনী কাজের দায়িত্ব দেয়নি। টাকা নিয়ে অনভিজ্ঞ শিক্ষকদের তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আমতলী শাখার সাধারণ সম্পাদক একেএম জিল্লুর রহমান বলেন, টাকা নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অনভিজ্ঞ শিক্ষকদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে নিয়োগ দিয়েছেন।
বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল হাই আল হাদী অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, আমার কাছে শিক্ষকরা মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। আমি শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।