পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকেই সৈকতে হাজারো পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। তবে আগতদের মধ্যে বেশির ভাগই স্থানীয় পর্যটক। আগতরা সৈকতের বালিয়ারীতে হইহুল্লোরে বিশেষ মেতে উঠেছে । অনেকে আবার সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসাচ্ছেন। কেউবা আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের বুকে আছড়ে পড়া ছোট বড় ঢেউ। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল মোটেলের কক্ষ। আগত নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
হোটেল কানসাই ইন এর পরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান আজকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভালোই উপস্থিতি লক্ষ্য করেছি । আমাদের হোটেলে ২০-৩০ পারসেন্ট ডিসকাউন্ট দিয়ে বুকিং নিয়েছি। তবে স্থানীয় লোকজন থাকায় শত ভাগ রুম বুকিং হয়নি।
বরিশাল থেকে আসা পর্যটক মোঃ শুভ জানান, আজকে বাহিরের পর্যটক কম, তবে বেশীর ভাগই বরিশাল বিভাগের মনে হচ্ছে।
তুষাখালী থেকে আসা আসমা আক্তার সুমাইয়া বলেন, ঈদের ছুটিতে আমরা পরিবার সহ কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি। কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখলাম বেশ ভালই লেগেছে। আগের তুলনায় কুয়াকাটা এখন যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই ভালো।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওয়ার্স এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ জানান, প্রায় হোটেলের আশি পার্সেন্ট রুম বুক হয়ে গেছ। পর্যটকদের সেবায় আমরা সর্বোচ্চ নজরদারি করছি যাতে পর্যটকরা কোন ভাবে কষ্ট না পায়। মহিপুর থানার ওসি মো: আনোয়ার তালুকদার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা পত্তায় আমাদের পুলিশ সার্বক্ষণিক প্রস্তুত।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আজকে ভাল পর্যটকের উপস্থিতি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাপাড়া থানা,মহিপুর থানা,কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস, মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।