মুহাঃ মেহেদী হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর আমিরুল মুজাহিদিন আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম উদ্বোধনী বয়ান করেন।
মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, চরমোনাই মাহফিল দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে নয়; বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই এ মাহফিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন, তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
চরমোনাই পির বলেন, যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখেরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে জায়গা দেন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে। সদাসর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলি হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।
এদিন ভোরে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতি আল্লামা হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী চরমোনাই এসে পৌঁছেছেন। এ ছাড়া এ বছর সৌদি আরব ও পাকিস্তানের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন বলে জানা গেছে।
মাহফিলে আগত মুসল্লিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যার অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীন ৪০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসাসেবা পরিচালিত হচ্ছে। ৬টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১টি স্পিড বোর্ট মাহফিল হাসপাতালে কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে।
এ ছাড়া মাহফিলে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী।
শনিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় চরমোনাই পিরের আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হবে।