Homeআঞ্চলিককবে বন্ধ হবে কলাপাড়া হাসপাতালে রোগীধারা দালালদের দৌরাত্ম্য!

কবে বন্ধ হবে কলাপাড়া হাসপাতালে রোগীধারা দালালদের দৌরাত্ম্য!

এস এম আলমগীর হোসেন কলাপাড়াঃ

কলাপাড়া হাসপাতালে প্রতিদিনই প্রত্যেক ডাক্তারের চেম্বারে দুই থেকে তিন জন রোগী ধরা দালাল থাকে। তাদের কাজ হলো হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগীদের তাদের নির্দিষ্ট ল্যাব-ক্লিনিকে নিয়ে প্রাইভেট ডাক্তার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো। এতে নিঃস্ব হচ্ছে হাসপাতালে সরকারি সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা। প্রতিদিনই রোগী ধরা দালালদের দ্বারে প্রতারিত হচ্ছে এ অঞ্চলের সাধারণ ও অসহায় রোগীরা। বর্তমানে দালাল চক্রটি খুবই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, যেন হাসপাতালটি তাদের দখলে! এই হাসপাতালটি দালাল মুক্ত করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি ও মানববন্ধন সহ নানা অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

গত ২০২৩ সালের মে মাসে প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান এমপি কলাপাড়া হাসপাতালে পরিদর্শনে এসে ভুক্তভোগী ও আপন নিউজের সম্পাদক এস এম আলমগীর হোসেন নানা অভিযোগ তুলে ধরেন, তা তিনি শোনেন, পরে ল্যাব-ক্লিনিকের কোন লোক (দালাল) হাসপাতাল চত্বর সহ ভিতরে প্রবেশ না করতে চিকিৎসকদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেয়।

এবং ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে কলাপাড়ায় জেলা প্রশাসক মো.নূর কুতুবুুল আলম এর সাথে মতবিনিময় সভায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেয়া, হাসপাতাল দালালমুক্ত সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেন আপন নিউজ’র আলমগীর হোসেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মো.নূর কুতুবুুল আলম হাসপাতাল দালাল মুক্ত রাখতে চিকিৎসকদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা। কলাপাড়া হাসপাতাল যেন দালাল ছাড়া কাজই হয় না। সর্বশেষ ২১ জানুয়ারি-২০২৪ কলাপাড়া হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্যের চিত্র তুলে ধরার জন্য আপন নিউজে একটি লাইভ প্রচার করে, সেখানে কয়েকজন দালাল আমার সাথে খারাপ আচরণ করে, সেটিও আপনারা দেখেছেন লাইভে। এই সূত্র ধরে পরের দিন ২২ জানুয়ারি ওই দালাল চক্রটি আমাকে লাঞ্ছিত করে নানা খারাপ ভাষায় আচরণ করে, তখন আমি কলাপাড়া থানার ওসির মহোদয় কে বিষয়টি বললে তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি ফোর্স পাঠিয়ে দেন, তখন হাসপাতালে কয়েকজন কর্মকর্তা বিষয়টি দেখবে বলে আশ্বাস করেন। আর ওই রোগী ধরা দালালদের করা ভিডিওটি আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কিছু হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। এত কিছু হওয়ার পরও কেন বন্ধ হচ্ছে না দালালদের দৌরাত্ম্য, কবে বন্ধ হবে! এদের খুটির জোর কোথায়? এমন প্রশ্নই জনমনে।

প্রিয় আমার কলাপাড়াবাসী ও শুভানুধ্যায়ী কলাপাড়া হাসপাতালে দালাল মুক্ত করা সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন, লেখালেখি ও লাইভ প্রচার করেছি, এসব করতে গিয়ে নানা লাঞ্ছিত, অপবাদ সহ নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, এবং হচ্ছে। মহান আল্লাহতালা এবং আপনারা আমার সাথে থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই আমাকে কিছু করতে পারবেন না এবং সত্যের পথে লেখালেখি ঠেকাতে পারবে না- ইনশাআল্লাহ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments