Homeআঞ্চলিককি হবে হাফিজার,পূরন হবে কি উচ্চ শিক্ষার আকাঙ্খা??

কি হবে হাফিজার,পূরন হবে কি উচ্চ শিক্ষার আকাঙ্খা??

রাসেল মোল্লা, কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ

শারিরীক প্রতিবন্ধী মেধাবী শিক্ষার্থী হাফিজা আক্তার। কলাপাড়া সরকারি মোজার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী। এবারে সে একাদশ শ্রেনীর প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছে। এর আগে পি এস সি,জে এস সি ও এইচ এস সিতে করেছে ভালো ফলাফল। বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্যেষন প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে প্রতিবন্ধী কোটায় জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছ। এত সাফল্ল্যের পরেও স্বস্তি নেই হাফিজার মনে। দুঃশ্চিন্তায় তার পরিবার কি হবে তার ভবিষ্যৎ। সেই চিন্তায় সব সময় তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে । আর দশটা ছেলে মেয়ের মতোই দেখতে সে। বোঝার উপায় নাই তার কোন অসুবিধা আছে। কিন্তু হাফিজার মা,পারুল বেগম জানান,ছোট
সময় থেকেই তার মেয়ের দুটো পা বাঁকানো। তাই স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে অসুবিধা হচ্ছে। বেশির ভাগ সময়ই অন্যের সহযোগিতা নিয়ে চলতে হয় হাফিজা কে। হাফিজা বলেন, এরই মধ্যে তার শরীরে আবারও নতুন করেসমস্যা
দেখা দিয়েছে।পায়ে প্রচুর ব্যাথা হয়। শিরা গুলো টান ধরে,এ কারনে শরীর অবস হয়ে হঠাৎ বসে পড়তে হয় তাকে। আস্তে আস্তে করে হাতের আঙুল গুলো বাকিয়ে আসছে। স্থানীয় ডাক্তার দেখালে তারা পরামর্শ দিয়েছেন উন্নত চিকিৎসার। কিন্তু অর্থ সংকটে অন্যত্র নিয়ে মেয়েকে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না পরিবারটির।

হাফিজা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা মোঃ হাবিবুর রহমান এর মেয়ে। সে পেশায় একজন দিনমজুর। নিজস্ব জমি না থাকায় পানিউন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বসবাস করেন। কাজ করেন কাঠ চেরাই মিলে। মেয়ের চিকৎসা দূরে থাক সামন্য আয়ে সংসার চালানোই তার কষ্ট। এরপর মেয়েকে এস এস সি পাশ করিয়ে ভর্তি করিয়েছেন কলেজে। ভাবছেন মেয়েকে আর লেখা পড়া করাবেন না। কিন্তু মেয়ের অদম্য ইচ্ছার কাছে হারমানতে হয় তাকে। তাই বাধ্যহয়েই কোনমতে চালাচ্ছেন সবকিছু।
হাফিজার প্রতিবেশী আলমগীর হোসেন বলেন,হাফিজা একজন ভালো মেধাবী স্টুডেন্ট ওর কলেজ থেকে আপনারা খোজ নিলে জানতে পারবেন। ওর ফ্যামিলি একটু আর্থিক ভাবে দুর্বল এ কারনে ওর লেখাপড়ার খরচ তারা বহন করতে পারছেন না। এছাড়াও হাফিজা শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী আমরা প্রতিবেশী যারা আছি আমরা সবাই সেটা যানি। তাই সকলে যদি এগিয়ে আসি তবে ওর চিকিৎসা এবং লেখাপড়া চালাতে সুবিধা হবে।

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমরা হাফিজার কাছ থেকে একটি দরখাস্ত পেয়েছি। আমরা সরকারী একটি সহযোগীতা দেওয়ার চেষ্টা করব। এছড়াও যেহেতু হাফিজা মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাই সমাজের বিত্তবান যারা আছে তারা এগিয়ে আসলে হাফিজা লেখাপড়া শিখে স্বাবলম্বী হতে পারবে।

বিদ্রঃ হাফিজাকে সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করুন হাফিজার মা পারুল বেগমের পার্সোনাল বিকাশ নম্বরে 01745-056670

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments