Homeজাতীয়খালে ‘টর্পেডো’, আতঙ্কে গ্রামবাসী

খালে ‘টর্পেডো’, আতঙ্কে গ্রামবাসী

আনোয়ার হোসাইন(হৃদয়)নিজস্ব সংবাদদাতাঃ

টর্পেডো’ সদৃশ একটি বস্তু ভেসে এসেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর একটি খালে। রোববার সকালে উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রাম সংলগ্ন ভাঙা খালে বস্তুটিকে দেখতে পায় গ্রামবাসী।

সেসময় ভাসমান ওই বস্তুটি দেখতে ভিড় করে স্থানীয় লোকজন । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাছ থেকে বস্তুটি দেখে ভারী কোন অস্ত্র ভেবে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।

খবর  পেয়ে রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বস্তুটির কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় লোকজনদের। অন্যত্র যাতে ভেসে না যায়, এজন্য রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় বস্তুটিকে।

মৌডুবি ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামের আরাফাত হোসেন বলেন, ‘বস্তুটি দেখতে ভারী কোন অস্ত্রের মতো, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট।’  গ্রামবাসীর ধারণা, পার্শ্ববর্তী রাবনাবাদ চ্যানেল হয়ে হয়তো এটি ভাসতে ভাসতে এই খালে এসেছে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, কোস্টগার্ডকে বিষয়টি অবহিত করা হলে ছবি দেখে তারা প্রাথমিকভাবে জানায় এটি টর্পেডো হতে পারে।  টর্পেডো ডুবন্ত থাকে, যেহেতু এটি ভেসে আসছে, তাই সম্ভবত ব্যবহৃত। তবুও ঘটনাস্থলে গিয়ে কোস্টগার্ড বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড রাঙ্গাবালী আউটপোস্টের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের  আন্ধারমানিক নদীর টিমটি ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। যতটুকু দেখে বোঝা যাচ্ছে, ওটা টর্পেডো হতে পারে, মিসাইল না। টর্পেডোর মাঝখানে যেভাবে জোড়া থাকে, ওটারও আছে। যেকোনো বড় জাহাজ ধ্বংসকে করে দেওয়ার কাজে টর্পেডো ব্যবহার হয়। এটা নৌবাহিনীর কাছে আছে।

তিনি আরও জানান, টর্পেডো অনেক ভারী থাকে এবং সাধারণত পানির নিচে থাকে। যেহেতু এটি ভেসে আসছে, সুতরাং ব্যবহার হয়েছে কিংবা ড্যামেজ হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। তাই পানিতে ভেসে ভেসে আসছে। তবে যদি ভেতরে কোন বাতাস থাকে তাহলে বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট গিয়ে ওটা পরীক্ষা করে দেখতে পারে।

আন্ধারমানিক নদীর কোস্টগার্ডের টিমটি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

টর্পেডো হচ্ছে এক ধরনের স্ব-চালিত অস্ত্র, যা পানির নিচে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষ্যবস্তুর সংস্পর্শে বা কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে। এটি পানির নিচে চলে এবং পানির নিচে বা ওপরে উভয় স্থান হতে নিক্ষেপ করা যায়। এগুলোকে বিভিন্ন ধরণের উৎক্ষেপকের দ্বারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নিক্ষেপ করা সম্ভব।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments