Homeআঞ্চলিকনিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন না করেও প্রবেশ পত্র! এলাকায় তোলপাড়

নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন না করেও প্রবেশ পত্র! এলাকায় তোলপাড়

নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন না করেও প্রবেশ পত্র! এলাকায় তোলপাড়। নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের দাবী।

বরগুনা প্রতিনিধি:
নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন না করেও দুই পদে প্রবেশ পত্র পেয়েছেন শাহিন মিয়া। তার অভিযোগ বগীরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদনই করেননি কিন্তু বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমান মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে নিয়োগ দিতে ভুয়া আবেদনপত্র তৈরি করেছেন। দুইটি পদের নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ৪ জানুয়ারী বিকেল ৩ টায় একই সময়ে বগীর হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ ভুয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবী জানিয়েছেন তিনি। এমন নিয়োগের প্রবেশ পত্র ইস্যু করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধে বুধবার শাহিন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানাগেছে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তালতলী উপজেলার বগীরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও অফিস সহায়ক পদে প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমান একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক তিন পদে ১৫ জনে আবেদন করেছেন। প্রধান শিক্ষক আগামী ৪ জানুয়ারী নিয়োগ পরীক্ষার অংশ নিতে আবেদনকারীদের প্রবেশ পত্র ইস্যু করেছেন। এতে নিরাপত্তা কর্মী ও অফিস সহায়ক পদে মোঃ শাহিন মিয়ার কাছে দুইটি প্রবেশ পত্র ডাক যোগে পাঠিয়ে দেন তিনি। ওই প্রবেশ পত্রে প্রধান শিক্ষক উল্লেখ করেন আগামী ৪ জানুয়ারী বিকেল তিনটার বগীরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সম্মেলন কক্ষে নিরাপত্তা কর্মী ও অফিস সহায়ক পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই পরীক্ষায় সকল সনদের মুল কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকবে হবে। শাহিন মিয়ার অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী ও অফিস সহায়ক পদে তিনি আবেদন করেননি। কিন্তু কিভাবে তার নামে নিয়োগ পরীক্ষার (প্রবেশ পত্র) কার্ড ইস্যু করা হলো। তার আরো অভিযোগ প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুয়া আবেদনপত্র দেখিয়ে প্রবেশপত্র পাঠিয়েছেন। এ ভুয়া নিয়োগ বন্ধের দাবী জানিয়েছেন তিনি। এ ভুয়া প্রবেশপত্র ইস্যুর বিষয়ে এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ভুয়া নিয়োগ বন্ধে বুধবার শাহিন মিয়া তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ব্যস্ততা দেখিয়ে তার ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার সিকদার বলেন, শাহিন আবেদন করেছে। এখন নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নাটক করছেন। তবে একই ব্যাক্তির একই সময়ে দুইটি পদের পরীক্ষা কিভাবে নেয়া হবে এমন প্রশ্নের সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

তালতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লিটু চট্টাপাধ্যায় বলেন, আবেদন না করে কারো পক্ষে প্রবেশ পত্র ইস্যু করা নেহায়েত অন্যায়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ব্যাপারে এখনো আমাকে কিছুই জানায়নি।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments