নিজস্ব প্রতিবেদক:-
সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়। সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি সমুদ্রকণ্যা। দেশের একমাত্র বিরল স্থান যেখানে একই স্থানে দাঁড়িয়ে অবলোকন করা যায় উদয়-অস্তের নান্দনিক দৃশ্য। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের চঞ্চলতা ফিরে পেয়েছে। এবার হাসি ফুটেছে পর্যটন সংস্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে।
আজ শনিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটার সকল দর্শনীয় স্থান, হোটেল, রিসোর্টসহ বিনোদনকেন্দ্র ও পার্ক। মূলত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস থেকেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ছিল কুয়াকাটা। আজকের সাপ্তাহিক ছুটিতে সেই চাপটা আরও বেড়ে গিয়ে পর্যটককে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলো।
কুমিল্লা থেকে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক সালমান আহমেদ বলেন, আমি কুয়াকাটায় এর আগেও ২০২০ সালে একবার এসেছি। কুয়াকাটার লেম্বুরবন খুবই সুন্দর একটি জায়গা। গঙ্গামতি থেকে সূর্য উদয় খুবই সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অনেক দিন টানাপোড়েনের মধ্যে ছিল। কিছু কিছু সময় এমনও গেছে যে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছিল কুয়াকাটা। তবে বর্তমানে যে হারে পর্যটক কুয়াকাটায় আসছে তাতে পেছনের ক্ষতি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব বলে মনে করি। বর্তমানে কুয়াকাটার সকল দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের কর্মকত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটন মৌসুম চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কুয়াকাটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত হওয়ায় সব সময় কমবেশি পর্যটকের উপস্থিতি থাকে কুয়াকাটায়। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমাদের তিন স্তরের টিম কাজ করছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সব সময় কাজ করছে।