কেএম শাহাবুদ্দিন শিহাব, স্টাফ রিপোর্টঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিএল) জন্য দুটি অত্যাধুনিক শিপ আনলোডার ক্রেন নিয়ে পায়রা বন্দরে ভিড়েছে ‘এমভি জি সান ‘নামের একটি মাদার ভ্যাসেল।
বৃহস্পতিবার( ৮ই ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চায়নার ইউংডাও বন্দর থেকে এটি বিদ্যুত কেন্দ্রের জেটিতে এসে পৌছায়।
বন্দর তথ্য সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ১৬২৮.৫৬ মেট্রিকটনের এ আনডোলার দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে স্থাপনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৮৫ ভাগ নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। এর ফলে আরএনপিএল ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে কয়লা আমদানি করে চলতি বছরের জুনে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পায়রা বন্দরের (ট্রাফিক) বিভাগের পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এই জাহাজ সহ দেশি বিদেশী মোট ২৪০০ টি জাহাজের পন্য খালাসের মধ্য দিয়ে পায়রা বন্দরের মাধ্যমে সরকার রাজস্ব আয় করেছে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা।
পায়রা বন্দর ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান সাগরকন্ঠ২৪.কে বলেন, আরএনপিএল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ কয়লা প্রয়োজন হবে তা পায়রা বন্দরের মাধ্যমে আসবে। ফলে বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে।
আরএনপিএল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.আশরাফ উদ্দিন জানান, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সার্বিক অগ্রগতি ৮৫ ভাগ। ইতোমধ্যে পরীক্ষা ও কমিশিউনিং এর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মে মাসে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে জুন মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় ইউনিটের মাধ্যমে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, আরএনপিএল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি টি ৩৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের জেটি। এখানে ২২০ মিটার জাহাজ একুয়ামোডিশন করা যাবে। পায়রা বন্দরের মাধ্যমে পাইলোটিং নেভিগেশন পার্ট, চ্যানেল ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে এই জেটিতে ৪৬ মিটার ব্রেথের মাদার ভেসেল জাহাজটি এসেছে।