দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ৭ জানুয়ারি (রোববার) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা ‘গণকারফিউ’ ঘোষণা করেছে ১২ দলীয় জোট। এদিন জোটের পক্ষ থেকে জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকায় গণসংযোগ এবং পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসময় ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি দেখাতে ইতিমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ ভোটারদের চাপ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দিনমজুর ও কাজের লোকদের এক দিনের সমান কাজের টাকা দিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাই দেশবাসী মনে করে, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হয় না, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবিলম্বে নির্বাচন স্থগিত করে এ সরকারের পদত্যাগ করা জরুরি।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় থাকতে ফের নির্বাচনী তামাশার আয়োজন করেছে। কথাবার্তা পরিষ্কার, আগামী ৭ তারিখ পুতুল খেলার নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। গণকারফিউয়ের মাধ্যমে এ নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে এবং এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
গণসংযোগ ও মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম প্রমুখ।