Homeঅপরাধমঠবাড়িয়ায় ভোট কিনতে বাধা দেওয়ার জের ধরেই খুন হয় জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত

মঠবাড়িয়ায় ভোট কিনতে বাধা দেওয়ার জের ধরেই খুন হয় জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত

মোঃ রুম্মান হাওলাদার, মঠবাড়িয়া উপজেলার প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ভোট কিনতে বাধা দেওয়ার জের ধরে নির্মমভাবে জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়। হত্যাকাণ্ডের শিকার জাহাঙ্গীর উপজেলা মিরুখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বাদুরা গ্রামের তোতাম্বর পঞ্চায়েতের ছেলে। তিনি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কলার ছড়ি প্রতীকের শামীম শাহনেওয়াজের সমর্থক ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিরুখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফের ভাই মোস্তফা ওরফে মোস্তফা দারোগা (পুলিশ বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত) স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীর ঈগল প্রতীকের সমর্থনে ভোট কিনতে থাকেন। ঘটনার দিন (৩ জানুয়ারি) তিনি লোকজন নিয়ে নাগ্রাভাঙ্গা এলাকায় ভোট কিনতে যান। সেখানে জনতার তাড়া খেয়ে বাদুরা এলাকায় আসেন। ৩০/৩৫ জন লোক নিয়ে প্রথমে রুহল খানের বাড়িতে যান। রুহুল খানকে তাদের সাথে থেকে একটু সময় দিতে বলেন। এজন্য তাকে ১০ হাজার টাকা দিতে চায় তারা। কিন্ত তিনি টাকা না নিয়ে তাদেরকে ভোট কিনতে নিষেধ করেন। তারা এ কথা না শুনে রত্তন খানের ঘরে যায়। ঈগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার কথা বলে তাদের ঘরে ১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ফজলু খানকে ৫ শত টাকা, কবির খানের স্ত্রী সুমি আক্তারকে ২ শত টাকা, পারুল বেগমকে ২ শত টাকা, মহিউদ্দিনকে ৫ শত টাকা দেওয়া হয়। মালয়েশিয়া প্রবাসী দেলোয়ার খানের স্ত্রীকে ২ শত টাকা দেয়। দেলোয়ার খান এ টাকা ফিরিয়ে দিলে তাকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা সোহরাব হাওলাদারের ঘরে আশ্রয় নেয়।পু লিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। সেখান থেকে যাওয়ার সময় তারা দেলোয়ার খান সহ কলার ছড়ির লোকজন বাদুরা বাজারে গেলেই মেরে ফেলার হুমকি দেয়।মোস্তফা দারোগাসহ ঈগল মার্কার লোকজন ওই এলাকার বশির ফরাজীর বাড়িতে অবস্হান নেয় এবং ওই বাড়িতে দুপুরের খাবার খায়।বিকাল ৪টার সময় কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থক জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত ওই বাড়ির সামনে থেকে বাদুরা বাজারে নির্বাচনী অফিসে যাওয়ার সময় কুপিয়ে জখম করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃহস্পতিবার (৪জানুয়ারি) সকাল ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েতের স্ত্রী বুলু বেগমকে দিয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বুলু বেগমের দাবি,এজাহারে কি লেখা হয়েছে, কে বা কাকে আসামী করা হয়েছে তা আমি জানি না।এখন শুনি মামলায় জমি নিয়ে বিরোধের কথা লিখছে।আসলে আমাদের সাথে কারো জমি নিয়ে বিরোধ নেই।

থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের যৌথ টিম অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে প্রধান আসামী সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করে।মঠবাড়িয়া ইউনিটের ডিবি পুলিশের ইনচার্জ এস আই রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments