Homeআঞ্চলিকশম্ভুর পক্ষে নৌকার নির্বাচনী পথসভা শেষে টাকা বিতরণ

শম্ভুর পক্ষে নৌকার নির্বাচনী পথসভা শেষে টাকা বিতরণ

শম্ভুর পক্ষে নৌকার নির্বাচনী পথসভা শেষে টাকা বিতরণ।

বরগুনা সংবাদদাতা:
বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু’র নির্বাচনী পথসভা শেষে টাকা বিতরণ করেছেন আমতলী পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাবিব মীর। গত বৃহস্পতিবার (২৮ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র মো. মতিউর রহমানের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যলয়ে বসে এ ঘটনা ঘটে।

টাকা বিতরণের ওই ভিডিওটি শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, লাইনে দাঁড় করিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত বরগুনা-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর পক্ষে পৌরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটারদের হাতে টাকা গুঁজে দিচ্ছেন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, আমতলী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) আমতলীতে নৌকা প্রতীকের পথসভা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র মো. মতিউর রহমানের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসেই টাকা বিতরণ করছেন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আমতলী পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাবীব।

ওই সভায় উপস্থিত থেকে টাকা নিয়েছেন এমন কয়েকজন নারী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর প্রচার সভায় মিছিল নিয়ে উপস্থিত থাকতে তাদেরকে টাকা দেওয়া হয়েছিলো। কয়েকজন নারী অভিযোগ করে বলেন, এসময় ছবি তুলতে না চাইলেও তারা টাকা বিতরণের ছবি তুলে রাখেন যাতে আমরা অন্যকারো প্রচার সভা কিংবা মিছিলে গেলে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান, তিনি বলেন, আমি একজন কাউন্সিলর আমি প্রায় গরীব মানুষের মধ্যে আমার পক্ষ থেকে টাকা বিতরণ করি। এখানেও আমার পক্ষ থেকে টাকা বিতরণ করা হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন সময় টাকা দেওয়ার বিষয়টি আচরণ বিধির লঙ্ঘন তিনি জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনের লাইনটি কেটে দেন।

এবিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, যদি টাকা দেয়ার সময় আমরা হাতেনাতে ধরতে পারতাম তবে ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় ব্যবস্থা নিতে পারতাম। যেহেতু সেটা হয়নি, ভিডিওটি দেখার পরে আমরা নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

বরগুনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টাকা বিতরণের ভিডিওটি আমিও দেখেছি। যদি কেউ এই ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করে তাহলে তদন্তসাপেক্ষে যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments