Homeকৃষিসবজি বাজারে আগুন, মাছের দামেও নাভিশ্বাস নিম্ন ও মধ্যবিত্তের

সবজি বাজারে আগুন, মাছের দামেও নাভিশ্বাস নিম্ন ও মধ্যবিত্তের

পটুয়াখালীর মহিপুরে কাঁচা বাজারে আগুন, নাভিশ্বাস ক্রেতাদের। হাতের নাগালে বেগুন, শশা,আলু, পটল, ঢ়েড়স, মিষ্টি কুমড়া, লাউ , সহ সবরকম সবজির দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে কাঁচা বাজারের পাশাপাশি মাছ মাংস দুধ ডিমের দাম। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের যেন বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে।
অনেকে হাটে এসে কাঁচা বাজার না করেই খালি ব্যাগ হতে নিয়ে বাড়ি ফেরত চলে যাচ্ছেন। আবার কেউ বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে সরজমিনে পটুয়াখালী জেলার বৃহত্তর মহিপুর বাজারের বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাটে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা বাজারে সবজির দাম শুনতেই নাভিশ্বাস নিচ্ছে ক্রেতারা। বাজারে করল্লা ১০০ টাকা কেজি, ঢেড়স ৯০ টাকা কজি, বেগুন ৯০ টাকা কেজি, আলু ৭০ টাকা কেজি, ঝিঙে ১০০ টাকা কেজি, পটল ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি,শশা ১০০ টাকা কেজি, জালি কুমড়া ৭০ টাকা কেজি, তরাই ৪০ টাকা কেজি, পিঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি, আদা ২৮০ টাকা কেজি, রোসন ২২০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা কেজি, কচু ৮০ টাকা কেজি , মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, পুইশাক ৩০ টাকা কেজি, শশা ১০০ টাকা কেজি।

অন্যদিকে রুই মাছ ৩০০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ ২৫০ টাকা কেজি, কাতলা মাছ ৩৫০ টাকা কেজি, সিলভারকাপ মাছ ৩০০ টাকা কেজি, টেংরা মাছ ৬০০ টাকা কেজি, চিংড়ী মাছ ৬০০/৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মহিপুর বাজারে।

সবকিছুর দাম উর্দ্ধগতির জন্য মধ্যেবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে।
মহিপুরে বাজার করতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষ মোঃ শাহীন জানান, তিনি বাজার করতে এসে তরি-তরকারির দাম শুনে হতাশ হয়ে বাজার না করে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়িতে ফেরত যাচ্ছেন। তিনি সারাদিনে কাজ করে পারিশ্রমিক পান মাত্র ৫’শ টাকা, আর বাজারে এক কেজি বেগুনের দাম ৮০ টাকা, এক কেজি পাঙ্গাশ মাছের দাম ২৫০ টাকা, আমরা গরীব মানুষ এতটাকা দিয়ে মাছ ও সবজি কিভাবে কিনে খাব বলে চরম হতাশা হয়ে পড়েন তিনি।
হাটে বাজার করতে আসা মোঃ বাবুল চকিদার নামের আরেকজন ব্যক্তি বলেন, মাছের বাজারে গিয়ে হাঁপ কেজি চিংড়ী মাছ কিনেছি ৩৫০ টাকা দিয়ে, এক কেজি আলু কিনেছি ৭০ টাকা দিয়ে। যেভাবে দিন দিন তরিতরকারির দাম বাড়ছে তাতে মানুষের বাজার করে খাওয়া দায় হয়ে পড়েছে মহিপুর বাজারের মোঃ আলমগীর নামের ব্যবসায়ী জানান, তারা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে মাল কিনে খুচরা দামে বিক্রি করছেন। তাদের কাছে পাইকারি বাজারে বেগুনের দাম ধরা হচ্ছে ৮০ টাকা আর সেই বেগুন খুচরা বাজারে বিক্রি করছি ৮৫/৯০ টাকা দরে।
পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় তারা বেশি দামে মাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments