মুহাঃ মেহেদী হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ৩১৩ প্রোপার্টিজ লিমিটেড এর অন্যতম এক বিগ প্রজেক্ট ৩১৩ এগ্রো ফার্ম, এই ফর্মের লেকে জাল টেনে ৬০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। এই লেকের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আন্ধারমানিক নদীর একটি ছোট শাখা নদী যেখান থেকে এই লেকে ইলিশটি প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা ফার্ম কতৃপক্ষের।
আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ডালবুঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খাপড়াভাঙ্গা এলাকায় ৩১৩ এগ্রো ফার্মের লেক থেকে ইলিশ মাছটি পাওয়া যায়।
৩১৩ প্রোপার্টিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মিজবাহ বলেন, আমাদের ফার্মের লেকে জাল টেনে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে অন্য মাছের সঙ্গে ইলিশ মাছটি দেখে হতবাক হয়ে যাই। বিষয়টি প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে ভালোভাবে পরীক্ষা করে মাছটি ইলিশ বলেই নিশ্চিত হয়েছি। তবে লেকে তো আমরা কখনোই ইলিশের বাচ্চা ফেলিনি। আমাদের লেকের এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আন্দারমানিক নদীর একটি শাখা। সেখান থেকে এই মাছটি আসতে পারে বলে আমাদের ধারণা। এগ্রো ফার্মের বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষ্যে কুয়াকাটায় দুইদিনব্যাপী ২ ও ৩ মার্চ-২০২৪ ইংরোজ: শনি ও রবিবার বহুল প্রতীক্ষিত মিলনমেলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে, উক্ত অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি।
৩১৩ প্রোপার্টিজ লিমিটেড এর ম্যানেজার মোঃ সিহাব সজিব বলেন, ৩১৩ এগ্রো ফার্ম গতানুগতিক কৃষিকে উপেক্ষা করে, কৃষিকে আধুনিকায়ন করতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, কৃষি প্রেমীদের আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ফার্মটি সমুদ্রের একেবারেই কাছাকাছি হওয়ায় আমরা ধারণা করেছি কিছু সামুদ্রিক মাছ হয়তো আসতে পারে, তবে ইলিশ মাছ পাওয়াটা আমাদেরকে সত্যিই বিস্মিত ও আনন্দিত করেছে।
৩১৩ এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মো. আরিফ বিল্লাহ জানান, আন্ধারমানিক নদীর শাখা নদীর পাশে আমাদের লেকটি থাকায় অন্য কিছু সামুদ্রিক মাছ থাকতে পারে বলে আমাদের ধারণা ছিল। কিন্তু ইলিশ মাছ পেয়ে আমরা অবাক। মাছটিকে আমরা খাওয়ার জন্য রেখেছি।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে স্বাদু পানিতে ইলিশ মাছ কম বাড়লেও একটা সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এছাড়া পুকুরে বা নদীর পানিতে ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকে না। নদীর তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় অন্য মাছের সঙ্গে মাছটি পুকুরে আসতে পারে।
মাশা-আল্লাহ