Homeজাতীয়কুয়াকাটায় থার্টি ফার্স্ট নাইট/ কাঙ্ক্ষিত বুকিং নেই হোটেল-মোটেলে

কুয়াকাটায় থার্টি ফার্স্ট নাইট/ কাঙ্ক্ষিত বুকিং নেই হোটেল-মোটেলে

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটায় প্রতিবছর শেষ সূর্যটাকে বিদায় জানিয়ে, নতুন বছরের সূর্যকে আগমন জানাতে কুয়াকাটায় উপস্থিত হয় লাখো পর্যটক। তবে এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে, সমুদ্র সৈকতে তেমন পর্যটকের উপস্থিতি নেই, ২০২৩ সালকে বিদায় জানিয়ে ২৪ সাল কে আগমন জানাতে তেমন উৎসবও নেই পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাঝে,তবে প্রতিবছরের ন্যায় এবছর হোটেল-মোটেল আগাম প্রস্তুতি থাকলেও তেমন সারা নেই পর্যটক আগমনের।

রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পট সহ বিভিন্ন স্থানকে রঙ্গিন লাইট, বেলুন দিয়ে সাজিয়ে নতুনকে স্বাগত জানাতে বেশীরভাগ হোটেল ধোয়া-মোছা করে পরিপাটি করে রেখেছেন তবে কাঙ্ক্ষিত বুকিং না পেয়ে হতাশ বেশীরভাগ হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, থার্টি ফার্স্ট নাইটের কাছাকাছি কোনো সরকারি বন্ধ না থাকা এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেণীর হোটেলগুলোতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বুকিং হয়েছে, তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেনীর হোটেলগুলোতে কোন প্রকার অগ্রিম বুকিং না থাকায় কাঙ্খিত পর্যটক থেকে বঞ্চিত হবার শঙ্কা পর্যটক ব্যবসায়ীদের।

হোটেল খান প্যালেসের পরিচালক মো. সাকুর বলেন, প্রতিবছরে থার্টি ফার্স্ট নাইটের একসপ্তাহ আগে আমাদের পুরো হোটেল অগ্রীম বুকিং পেতাম কিন্তু বর্তমানে আমাদের মোট রুমের মাত্র ২০ শতাংশ রুম বুকিং পেয়েছি আগামী দুই দিনে ৩০ শতাংশ রুম বুকিং পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমরা যে প্রস্তুতি সে পরিমান পর্যটক এই বছর পাচ্ছি না।

হোটেল সমুদ্র বিলাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপদেষ্টা, কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাব, ডা. ইসমাইল ইমন জানান , গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হরতাল-অবরোধের ধাক্কায় থার্টি ফার্স্টের মত বড় বাজারেও আমরা লোকসান দিচ্ছি। এই মুহুর্তে আমাদের রুম খালি যাচ্ছে যা করোনাকালীন সময়ের পরে এই প্রথম।

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, বছরে যতগুলো বন্ধে কুয়াকাটায় পর্যটকে টইটুম্বুর থাকে তারমধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট অন্যতম। তাই এই বন্ধকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক আয়োজন থাকে। তবে আকাঙ্খার ২০ শতাংশও বুকিং হচ্ছে না। যে কারনে হোটেল মালিক ও পর্যটকদের সেবা দেয়া ২৬টি পেশার মানুষ এখন হিমশিম খাচ্ছে। যা পর্যটকদের জন্য হুমকির।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ডিসেম্বর জুড়ে পর্যটকদের চাপ। তবে বর্তমানে কিছুটা কম তারপরেও সার্বিকভাবে আমরা তৎপর রয়েছি। যাতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments