আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
ইটভাটার সরদার ছালাম চৌকিদার ও তার লোকজন দাদন টাকার জন্য লোহার শিকল দিয়ে আটকে শ্রমিক আনিস গাজীকে (৫৫) নির্যাতন করে। এতে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শ্রমিকের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে ইটভাটার সরদার ছালাম চৌকিদারকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রশাসন ওই ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছেন।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামের চাঁন গাজীর ছেলে আনিস গাজী ৪০ হাজার টাকা দাদন নিয়ে কালিবাড়ী এলাকায় চাওড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ফারুক গাজীর আইএসএসবি ইট ভাটায় কাজ নেয়। ১৫ দিন কাজ করে আনিস পালিয়ে যায়। স্ত্রী ফিরোজা বেগমের অভিযোগ গত বছর ২৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে তিনটায় ইটভাটার সরদার ছালাম গাজী, খালেক ও সবুজ শ্রমিক আনিস গাজীকে তার বাড়ী ডালাচারা থেকে তুলে আনে। পরে তাকে ইটভাটার একটি কক্ষে লোহার শিকল গিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। তাদের নির্যাতনে গত বৃহস্পতিবার শ্রমিক আনিস গাজী মারা যায়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে ইটভাটার সরদার ছালাম চৌকিদারকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য নাসিমা বেগমের ছেলে রাকিব ও ইটভাটার মালিক ফারুক গাজীর ভাগ্নে মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃস্পতিবার প্রশাসন ওই ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, দুই আসামী গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।