আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু। এখনো নির্বাচন বানচাল করতে মরিয়া বিএনপি। শেষ সময়ে এসেও একের পর এক পরিকল্পনা করছে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। তবে কোনো কিছুতেই ফায়দা হাসিল করতে পারছে না তারা। হরতাল-অবরোধ এমনকি অসহযোগ আন্দোলনের মতো টানা কর্মসূচি দিলেও তা আমলে নিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সুষ্ঠু ভোট করতে সব আয়োজন শেষ করার কথা বলছে সরকার। কিন্তু এখনো যে কোনো অপ্রিতিকর পরিস্থিতির শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এরই মধ্যে ট্রেনে বাসে-আগুন দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার সাথে ভোট বানচাল এবং হরতাল সমর্থকদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের তালিকা করা হয়েছে।
প্রশাসনের শঙ্কা নির্বাচন ঠেকাতে জ্বালাও-পোড়াওসহ নানা নাশকতা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাতে সফল না হওয়ায় এখন ভোটের দিন বা এর আগের দিন কেন্দ্রভিত্তিক নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দেশজুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার জাল।
পুলিশ সূত্র বলছে, ভোট রোববার হলেও ৫ জানুয়ারি থেকে চিহ্নিত ৫৩ আসনসহ অন্যান্য আসনের ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা দিতে শুরু করেছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সরকার ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বলছে। আর ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে বিরোধীরা। ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করতে পরিকল্পনা করছে একটি চক্র। ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে না যান, সেজন্য ভোটকেন্দ্রে হাতবোমা ছোড়া, কেন্দ্রের কাচ ভাঙা, বিকট শব্দে পটকা ফোটানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব করে শেষ পর্যন্ত ভোট ঠেকাতে পারবে না বিএনপি। তবে মাঠের রাজনীতিকে সক্রিয় এই দলটি হাইকমান্ডও বলছে, পরিস্থিতি বুঝে তারাও কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে।
বিএনপি মনে করছে, ভোট হয়ে গেলেও বেশি দিন টিকবে না এই সরকার। যে কোনো মূল্যে বিশ্বের কাছে এই নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য করতে তুলতে পারলেই তারা সফল হবে বলে দাবি করছে বিএনপি। এ জন্য ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে নিরুৎসায়িত করা হচ্ছে। আর নির্বাচন কমিশন এবং সরকার ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে নানামুখী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।