Homeজাতীয়কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটক, খুশী ব্যবসায়ীরা

কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটক, খুশী ব্যবসায়ীরা

কেএম শাহাবুদ্দিন শিহাব, স্টাফ রিপোর্টঃ

সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য থাকলেও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পর্যটকে চাঞ্চল্যতা ফিরতে শুরু করছে। এতে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) উপলক্ষে সরগরম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট।

জানা যায়, গত অক্টোবরের শেষ দিক থেকে এমন অবস্থা চলতে থাকায় লোকসান গুনছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এ পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে সী বিচ সহ কুয়াকাটার পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক। এতে খুশি পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি তাদের লোকসান কাঠিয়ে ওঠার আশা দেখছেন।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) পর্যটকদের আগমনে সকাল ৮ টা থেকে ব্যবসায়ীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। সমুদ্র সৈকতের স্পিড বোর্ডচালক,ওয়াটার বাইক, মোটরসাইকেল ড্রাইভার, অটো ভ্যান, ঝিনুক, আচার, শুটকি মাছের দোকান সহ প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ছিল উপচে পরা ভীড়।

পঞ্চগড়ের তালা উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা দম্পতি শান্ত এবং খুশবু সাগরকন্ঠ ২৪.কে বলেন, শীতের সময় ঘুরতে অনেক মজা, সেরকম প্রস্তুতি আমরা নিয়েছিলাম,কিন্তু একদিকে অবরোধ অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচন, তাই পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে আসা হয়নি, এখন কিছুটা নিরাপদ অনুভব করায় সৈকতে বেড়াতে এসেছি, কুয়াকাটা খুবই সুন্দর এখানকার মানুষগুলোও ভালো।

পর্যটকদের আগমনে উচ্ছ্বাসিত স্থানীয় ঝিনুক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইউসুফ গাজী বলেন, ভাই আমরা পেটে খিদার মানুষ পর্যটক আসলে ভালো থাকি পর্যটক না আসলে আমাদের চলতে কষ্ট হয়, দোকান দিয়েই সংসার চালাই, একটা কিস্তিও আছে তাও এই দোকান দিয়েই চলে,। তবে পর্যটক আশায় বিক্রি বেড়েছে। আলহামদুলিল্লাহ,

সমুদ্রসৈকতের কোল ঘেষে গড়ে ওঠা হোটেল সানফ্লাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান সাজু জানান,গত অক্টোবর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত আমার হোটেল ৮০ ভাগ ফাঁকা ছিল, কর্মচারী বেতন মাসিক বিদ্যুৎ বিল, সব মিলিয়ে অনেক টাকা লোকসান দিয়েছি, নির্বাচন পরবর্তী সময়, পর্যটকের আগমনে এখন শতভাগ বুকিং পাচ্ছি। পাশাপাশি এখন পর্যটকের শূন্যতা নেই, আমরা খুবই খুশি, আশা করি ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব।

ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটা (টোয়াকের) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার সাগরকন্ঠ ২৪.কে বলেন, ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা হচ্ছে কুয়াকাটার জন্য একপ্রকার সৌন্দর্য। কোটি টাকার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সি বিচের ঝাল মুড়ি পর্যন্ত পটায় ১৮-২০ টি পেশার মানুষ সবাই এই পর্যটকদের উপর নির্ভরশীল। পর্যটক আছে বলেই ব্যবসায়ীরা আছে, পর্যটকদের আগমনে গত এক মাসের ব্যবসায়িক লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে ব্যবসায়ীরা এমনটাই প্রত্যাশা।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোতালেব শরীফ জানান, গত অক্টোবর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত পর্যটক শূন্য ছিল কুয়াকাটা কিন্তু নির্বাচনের পর থেকে বুকিং পেতে শুরু করছি। কুয়াকাটা প্রায় ২০০ আবাসিক হোটেল মোটেল রয়েছে। বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর হোটেলগুলো সহ আবাসিক প্রতিটি হোটেলে শতভাগ বুকিং রয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজওয়ানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান,শুক্র ও শনিবার কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। তাদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। সার্বক্ষণিক মাইকিং করে পর্যটকদের সকল বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments