Homeআবহাওয়াশীত এবং বৃষ্টিতে কুয়াকাটায় বিপর্যস্ত জনজীবন

শীত এবং বৃষ্টিতে কুয়াকাটায় বিপর্যস্ত জনজীবন

কেএম শাহাবুদ্দিন শিহাব, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

শুরু হয়েছে মাঘ মাস। পড়ছে হাড় কাঁপানো শীত। এরই মধ্যে পটুয়াখালির কুয়াকাটায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে । এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়ে চলে ৯টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। এসময় ০.২৫ মিলিমিটার থেকে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সপ্তাহখানেক ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রা। মাঘ মাসের শুরু থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গত কয়েকদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। এতে ক্রমাগত তাপমাত্রা নিম্নমুখী হচ্ছে। এরমধ্যে যোগ হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এ বৃষ্টিতে শীতের দাপট আরও বেড়েছে।

সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, একদিকে কনকনে শীত, অন্যদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এতে সব থেকে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন খেটে খাওয়া, ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী নিম্নআয়ের মানুষ। কাজে বের হয়েও বৃষ্টির কারণে কেউ দোকানে, কেউবা গাড়ির নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন, হাড় কাঁপানো শীত এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারনে তারা কাজ করতে পারছেন না।

দিনমজুর নুর সাঈদ বলেন, “যেদিন কাজ করি অদিন খাবার জোটে, কাজ নাই খাবারও নাই “কয়েকদিন ধরে রোদ ওঠে না। ঠান্ডায় রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। । কনকনে শীতে হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। এর সাথে যোগ হলো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি । তাই বাধ্য হয়ে এই শীত-বৃষ্টির মধ্যে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি।’

স্থানীয় অটোভ্যানচালক মোহাম্মদ নুরজামান হাওলাদার বলেন, আমার খোলা অটো, প্রতিদিনই অটো নিয়ে বের হই, এমনিতেই শীত আয় রোজগার খুবই কম, তার মধ্যে আবার বৃষ্টি তাই গাড়ি নিয়ে দোকানে আশ্রয় নিয়েছি, শীত এবং বৃষ্টি থাকার কারণে অবস্থা বেগতিক, আয় বানিজ্য না থাকলে কিভাবে সংসার চালাবো বলা মুশকিল।

কলাপাড়া আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ফিরোজ ইসলাম সাগরকন্ঠ২৪.কে বলেন, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টা ও সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত দুদিনে তাপমাত্রা আরও বেশি ছিল। বৃষ্টির প্রভাবে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে ও রাতের তাপমাত্রা কমবে।

খনার বচন আছে- ‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পুণ্যদেশ’। খনা মাঘের শেষের বৃষ্টিকে আশীর্বাদপূর্ণ আখ্যা দিয়েছিল তার সময়ের কৃষি-পঞ্জিকামতে। ফলে মাঘের শেষে বৃষ্টি হলে জমি নরম ও সরস হয়, চাষাবাদে ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। তবে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি জনজীবনকে আরও বেশি কাহিল করে তুলেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments