চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় জমি-ঘর কিনে হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর রেজিস্ট্রারমূলে ৫৮ লাখ টাকায় জমি ও ঘর কেনা হয়। কিন্তু সেই জমি ও ঘর দখল দেয়নি অভিযুক্তরা। জমি বুঝে নিতে চাইলে প্রবাসী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মুহাম্মদ মুহিদুল আলম শাহ্ নামে এক প্রবাসী।
গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর গুয়াপঞ্চক এলাকায় এ জমি ও ঘর দখলে নিতে গেলে বাঁধা প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন অভিযুক্তরা।
এর আগে মো.হাশেম উদ্দিনের স্ত্রী রিনা আকতারসহ একই পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী প্রবাসী মুহাম্মদ মুহিদুল আলম শাহ্। মুহিদুল আলম শাহ্ একই এলাকার মৃত আবুল কাশেম শাহ্ পুত্র। সে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর রেজিস্ট্রারমূলে ৫৮ লাখ টাকায় জমি ও ঘরটি কিনে নেন রিনা আকতারের স্বামী মো.হাশেম উদ্দিনের কাছ থেকে।
অভিযোগে উল্লেখ করেন,মো. হাশেম উদ্দিনের কাছ থেকে জমিও ঘরটি ক্রয় করলেও দীর্ঘদিন ধরে দখলে যেতে দিচ্ছেন না তার স্ত্রীসহ পরিবারটি। বিভিন্নসময়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আসছে প্রবাসী পরিবারটিকে।
প্রবাসী মুহাম্মদ মুহিদুল আলম শাহ্ জানান, রেজিস্ট্রারমূলে জমি ও ঘরটি বিক্রি করে দিলেও সেই জমি ও ঘর দখল দেয়নি তারা। থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে শুধু অভিযোগ নয়, আমার ও পরিবারের নামে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে এলাকায়। এতে প্রতারণার শিকার হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। তবে গত মঙ্গলবার স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় অবশেষে দখলে নিতে সক্ষম হয় আমরা।
জানতে চাইলে রিনা আকতারের স্বামী মো. হাশেম উদ্দিনের মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে রিনা আকতার অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমরা ঘরের মধ্যে ঘুম ছিলাম ছেলে সন্তান নিয়ে। মুহিদুল আলম লোকজন নিয়ে আমাদের মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন এবং ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, এসব বিষয়ে উভয় পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।