কেএম শাহাবুদ্দিন শিহাব, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালীর মহিপুরের মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে জেলের জালে ধরা পড়া ২টি দাঁতিনা মাছ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় । এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ট্রলারে মাছদুটি পাওয়া যায়।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২ টার দিকে মহিপুর মৎস্য আড়তে নিলামে মাছগুলো বিক্রি করা হয়।
মৎস্য আড়ৎ সূত্র জানায়,বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন অংশে মাছ ধরার জন্য বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাল ফেলেন (এফবি মায়ের দোয়া) ট্রলারের জেলেরা। ৪ ঘন্টা পর জাল তুললে দেখা যায় অন্যান্য মাছের সাথে দুটি দাতিনা মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাছ দুটি নিলামে তোলা হয়। ১০ জন পাইকারি ব্যবসায়ী নিলামে অংশ নেন। পরে সর্বোচ্চ নিলামদাতা হিসাবে সজিব হোসেন নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী মাছ দুটি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় কিনে নেন। মাছ ২ টির ওজন ২০ কেজি।
মাছ দুটি ক্রয় করা মৎস্য ব্যবসায়ী সজিব হোসেন বলেন, দাঁতিনা মাছ মূলত সচারাচার দেখা যায় না। আজ হঠাৎ দেখে ডাকের মাধ্যমে কিনে নিলাম। নিজ দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এর খুব চাহিদা রয়েছে। মাছ ২টি বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
ট্রলার মাঝি লক্ষি মিয়া বলেন, সচারাচর দাঁতিনা মাছগুলো তেমন একটা পাওয়া যায়না। আমরা সাগরে ইলিশের জাল ফেলেছিলাম তখন হঠাৎ দেখি বড় কোন মাছ, প্রথমে ভেবেছিলাম কোরাল মাছ পরে কাছাকাছি গিয়ে দেখি দুটি দাতিনা মাছ। আলহামদুলিল্লাহ ভালো দামেই বিক্রি করলাম।
মহিপুর কুতুবদিয়া ফিস এর মালিক সাগরকন্ঠ ২৪.কে জানান,এই মাছ খুবই দামি। এই মাছের পেটে বিশেষ এক অঙ্গ থাকে। আমরা গ্রামের মানুষরা যাকে কোকনা (পেটের ভেতর সাদা ফাঁপা অংশ) বলি। বিদেশের বাজারে এই কোকনার চাহিদা অনেক।
এ বিষয় কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা সাগরকন্ঠ ২৪.কে জানান, এটি দেশে ‘দাতিনা’ বা ‘সাদা’ নামেই পরিচিত। নদ-নদী এবং সাগরের কাছাকাছি এলাকায় এই প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় না ,এরা মূলত গভীর সাগরের মাছ। এ মাছের ফুলকা বিদেশে রপ্তানি করা হয়, যা দিয়ে ওষুধ তৈরি করা হয়।