রাসেল মোল্লা,কলাপাড়া:-পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) নাসির উদ্দিন ও নির্বাহী প্রকৌশলী (জেটি) মোস্তফা আশিক আলী’র বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগ-শাজসে ঠিকাদারী কাজ ভাগ বাটোয়ারা সংক্রান্ত অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, ফিরোজ সিকদার, দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ইউসুফ আলী, কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ হুমায়ুন কবির, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সালমা কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক সালাম বিশ্বাস সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) নাসির উদ্দিনের আত্মীয় স্বজন ও নির্বাহী প্রকৌশলী (জেটি) মোস্তফা আসিক আলী’র আশীর্বাদপুষ্ট বিএনপি জামায়াতের কিছু নেতা কর্মীদের নিয়ে একটা সিন্ডিকেট তৈরী করে পায়রা পোর্টের সকল ঠিকাদারী কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগভাটোয়ারা করে কমিশন বানিজ্যে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মহোৎসব করে যাচ্ছেন। তারা একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে পায়রা বন্দরে লুটপাট ও বিএনপি জামায়াতকে প্রতিষ্ঠিত করার একটি মিশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে পায়রা বন্দরে কর্মরত থেকে বিএনপি জামায়াত ঘরানা ও সরাসরি সরকার বিরোধী রাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত এমন ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা তৈরী করে পায়রা বন্দরের ঠিকাদারী কাজ বাগিয়ে নিয়ে নিজেরা এবং তাদের স্থানীয় সহযোগীরা অবৈধ অর্থের পাহাড় গড়েছেন। নাসির উদ্দিনের আপন বড় ভাই হাসান মাহমুদ পরিচালিত ওয়াটার বার্ডস লিমিটেড এবং এ বি কোম্পানী নামে দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও তাদের একান্ত সহযোগী স্থানীয় বিএনপি ও সাবেক ছাত্রদলের নেতা লিটন গাজীর মালিকানাধীন মেসার্স নুরজাহান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বন্দরের সব কাজ সাব কন্ট্রাট দেন। এবং মোস্তফা আশিক আলীর ভাইপো রনি বিশ্বাস, নিজাম বিশ্বাস ও স্থানীয় রিয়াজ তালুকদার, তপন বিশ্বাস, তুহিন মৃধাকে দিয়ে কাজ করিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘বর্তমানে সবাই মনে করে প্রধান প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপি জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, নাসির উদ্দিন তার অধীনে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে অশ্লীল দুর্ব্যবহার করে বিতাড়িত করে দেন। তাদের দুর্ব্যবহার, মারমুখী আচরনকে ধামাচাপা দিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ছাত্রলীগের নামে অসত্য চাঁদাবাজীর তকমা দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কোনো চাঁদা চায়নি, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বা পায়রা বন্দরের কোনো কাজ বন্ধ হয়নি, বরং তারা নিজেরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে কাজ বন্ধ করে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উপর অসত্য দায় চাপিয়ে সরকার ও দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে। এ কারনেই স্থানীয় সাংবাকিদের কাছে কোনো সত্য তথ্য না থাকায় স্থানীয় সাংবাদিকরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেয়া অসত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে এমন সংবাদ পরিবেশন করেননি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন ও মোস্তফা আশিক আলী’র বক্তব্য জানতে একাধিকবার সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।