শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি:-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, দেশব্যাপী বিরাজমান সংকটময় মুহূর্তে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। রমজান মাস কুরআন নাজিলের মাস; বদর যুদ্ধ ও মক্কা বিজয়ের মাস। কুরআন মানবজাতির প্রতি আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআনকে সঠিকভাবে জানা এবং সেই অনুযায়ী নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমেই সত্যিকার অর্থে পবিত্র রমজান মাসের হক আদায় করা হবে। কুরআন থেকে হিদায়াত লাভের জন্য যে মন-মানসিকতা ও চরিত্রের প্রয়োজন, সেই মন ও চরিত্র গঠনের উদ্দেশ্যেই আল্লাহ তায়ালা মাহে রমাদানের সিয়াম পালনকে আমাদের প্রতি ফরজ করেছেন। পূর্ণ মর্যাদার সাথে ও পরিপূর্ণ হক আদায় করে মাসব্যাপী সিয়াম পালনের মাধ্যমে সে লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হওয়ার জন্য আমি সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালার বিধান না মানার কারণেই আজ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ আপতিত হয়েছে। আজ সমাজে বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, শোষণ, জুলুম, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা এবং মানবতাবিরোধী কর্মকা-সহ নৈতিক অবক্ষয় ব্যাপকভাবে বেড়েই চলেছে।
রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নগ্নতা বন্ধ করার দায়িত্ব প্রধানত সরকারের। আমরা সরকারকে এসব গর্হিত কাজ বন্ধ করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। উপরন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করে মানুষের জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
শনিবার (৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫ টায় নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে স্বাগত মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাগত মিছিল পূর্ব সমাবেশটি নগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুফতী ইমরান হুসাইনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, দলের নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মোঃ আবু গালিব, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাওঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ হুমায়ুন কবির, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, মুফতী ইলিয়াস মাঞ্জুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ্ব সরোয়ার বন্ধ, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, মোল্লা রবিউল ইসলাম, মোঃ শাহিন হোসেন, এইচ এম আরিফুল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, মুফতী মইনুল ইসলাম, মাষ্টার মঈনুদ্দিন ভুইঁয়া, গাজী মিজানুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, মোঃ কবির হোসেন, আলফাত হোসেন লিটন, ক্বারী জামাল হোসেন, আব্দুস সালাম, শ্রমিক নেতা এস এম আবুল কালাম আজাদ, মোঃ ইব্রাহিম খান, যুবনেতা মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, আব্দুস সবুর, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহাদী হাসান মুন্না, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিশাল এক মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।