কে এম শাহাবুদ্দিন শিহাব, স্টাফ রিপোর্টঃ
সাগর কন্যা পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বছরের সবসময়ই কম-বেশি পর্যটক থাকে। কিন্তুু পবিত্র রমজান উপলক্ষে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) ছুটির দিন হওয়ার পরও চলমান রামজানের জন্য পুরো সৈকত ছিল ফাঁকা। নামেমাত্র কয়েকজন পর্যটক দেখা যায় সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায়।
সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায়, রাখাইন মার্কেট,বৌদ্ধ বিহার,শুটকিপল্লী, লেম্বুরবনসহ পুরো সৈকত পর্যটকশূন্য। তবে গত কয়েক মাস ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় টইটম্বুর ছিল এই ভ্রমণ স্পটগুলো।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পরই পর্যটকদের পদচারণা বাড়তে থাকে কুয়াকাটায়। কিন্তু রমজানের শুরুতে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে বিশাল সম্ভাবনাময় সাগরকন্যা খ্যাত এই সমুদ্র সৈকত। তবে ঈদের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটবে এই প্রত্যাশা পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ীদের।
ঝিনুক ব্যবসার সাথে জড়িত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো: রাছেল খলিফা বলেন, গত কয়েক মাস ধরে একটানা পর্যটকদের আনাগোনা ছিল। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই সুনসান নিরব হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা। আমাদের বেচা বিক্রি নাই, রমজানের আগে যেখানে প্রতিদিন ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করতাম, এখন দিনে ৫০০ টাকা বিক্রি করতেই কষ্ট। পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছে।
সৈকতে ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ ফটোগ্রাফার মো: কুদ্দুস জানান,দীর্ঘদিন ধরেই আমি সৈকতে ছবি তুলি দিন আনি দিন খাই, কিন্তু রমজানের শুরুতেই পর্যটক নেই কুয়াকাটা। একদিকে , বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেক বেশি,অন্যদিকে সে অনুসারে আমাদের আয় নেই এখন।স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি।
ট্যুর অপারেটর ‘স অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন পবিত্র রমজান উপলক্ষে আমাদের পর্যটক কিছুটা কম। তবে ২০ রমজানের পর পর্যটকদের আগমন কিছুটা বাড়বে এবং ঈদের পরে লাখো পর্যটকদের আগমন হবে বলে আমরা আশা করি। যার ফলে হোটেল-মোটেলগুলো তাদের সার্বিক কাজগুলো সেরে নিচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ সুপার মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটার বিভিন্ন পয়েন্টকে কেন্দ্র করে আমাদের বিভিন্ন টিম কাজ করছে। যেসব পর্যটক এখন কুয়াকাটায় রয়েছে তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি। তাদের শতভাগ সেবা নিশ্চিন্তে আমরা বদ্ধপরিকর।