কেএম শাহাবুদ্দিন শিহাব, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা খালে অবৈধ ভাবে চায়না দুয়ারি ও বের জাল দিয়ে কিছু প্রভাবশালী দখল করে মাছ শিকার করা প্রায় ২০ হাজার মিটার জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে খাল উন্মুক্ত করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখি মারা নামকএলাকায় অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিম ও স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ জালগুলোকে জব্দ করা হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয়দের সম্মুখে জব্দকৃত অবৈধ জাল ও চাঁই পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এসময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, অ্যানিমল লাভারস অফ পটুয়াখালী এর কলাপাড়া টিমের সদস্যরা, আনসার সদস্য, পুলিশ এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ্যানিমল লাভারস অফ পটুয়াখালী সংগঠনের কুয়াকাটা টিম লিডার মো: বাচ্চু জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সমাজ সেবামূলক কাজ এর পাশাপাশি প্রানীকুল নিয়ে কাজ করে আসছি, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের কাছে সংবাদ ছিল, পাখি মারার এই খালটিকে কিছু প্রভাবশালীরা অবৈধ জাল দিয়ে দেশীয় মাছের উৎপাদন ব্যাহত করতেছে। পাশাপাশি খালটিকে দখল করে রাখছে।তাই আজকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন স্যারের প্রচেষ্টায় খালটিকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে । আমরা সকলেই স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, চায়না দুয়ারী মূলত মাছ ধরার এক ধরণের ফাঁদ। এই জালের বুননে একটি গিঁঠ থেকে আরেকটি গিঁঠের দূরত্ব খুব কম, যে কারণে এতে মাছ একবার ঢুকলে আর বের হতে পারে না। একে চায়না জাল, ম্যাজিক জাল এবং ঢলুক জাল নামেও ডাকা হয়। চায়না দুয়ারী ব্যবহারে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও অন্য জলজ প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে। তাই এটি একটি নিষিদ্ধ জাল।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলার এই নীলগঞ্জ একটি উন্নত কৃষি প্রধান ইউনিয়ন। এখানে শত শত কৃষক এই খালের দুই পারে কৃষি কাজ করে থাকেন। কিন্তু কিছু অসাধু জেলেদের কারণে এবং অবৈধ জাল ব্যবহার করে তারা এই জলের প্রবাহ আটকিয়ে রাখছে। যাতে করে দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।এই খালগুলো উন্মুক্ত রাখা এবং দেশীয় মাছ রক্ষার জন্য আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।