কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবৈধভাবে খাল ভরাট করে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এলেমপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান উয়ারিয়া-ধুলাহার খালের এক-তৃতীয়াংশ ভরাট করার চিত্রফুটে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মৃত রফিক ঘরামীর ছেলে সরোয়ার ঘরামী অবৈধভাবে দখল করছে বলে জানা যায়। তিনি খালের মাটি দিয়েই তার জমি সংলগ্ন খালেরঅংশ ভরাট করে দখলে নিচ্ছে। অথচ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে খালদখলে নেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।সরেজমিনে জানা যায়, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এলেমপুর গ্রামের উয়ারিয়া-ধুলাহারখালটি ওই এলাকার একটি ঐতিহ্যগত খাল। এ খাল থেকে মাছ আহরন করে অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। শুকনা সিজনে শুকিয়ে গেলেও বর্ষা মৌসুমে পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে এ খালটি। অথচ দখল বাজদের শকুনি চোখের নজরে পরে খালটি আজ মরা খালে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে খালটি তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য হারাতে বসেছে। এতে বিপাকে পরছে স্থানীয় মৎস্যজীবী পরিবারগুলো।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা বলেন, একসময় বিস্তর্ণ এলাকাজুড়ে এ খালটির
অবস্থান ছিলো। কিন্তু দখলবাজদের নজরে পরে খালটির আকার এখন ছোট হয়ে
যাচ্ছে। যে যার মতো ভরাট করে দখলে নিচ্ছে। জানতে চাইলে বলে রেকর্ডীয়
সম্পত্তি তাই ভরাট করছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সরোয়ার ঘরামির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এস.এ
পর্চানুযায়ী এটি আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তি। তাই ভরাট করছি।” কিন্তু বিএস
পর্চায় এটি সরকারী খালে রেকর্ডভ‚ক্ত হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তাহলে
কিভাবে এ খালটি সে নিজের বলে দাবী করছেন তার সদুত্তর তিনি সাংবাদিকদের
দিতে পারেননি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি সাথে সাথে তহশিলদার কে পাঠানো হয়েছে কাজ বন্ধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।