Homeআঞ্চলিকআমতলীতে তদন্ত কর্মকর্তার ৫০ হাজার টাকা ঘুস দাবীতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

আমতলীতে তদন্ত কর্মকর্তার ৫০ হাজার টাকা ঘুস দাবীতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধঃ

বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতের একটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আমতলী থানার এস আই আলাউদ্দিন মামলার বাদী সোহেল রানার কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার মামলার বাদী সোহেল রানা আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার দাবীকৃত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি আসামীদের সঙ্গে আতাত করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে বিশ্বস্ত্র সুত্রে জানাগেছে। তিনি আরো বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা স্বাক্ষীর জবানবন্দি খালী ফরমে (ব্লাঙ্ক) স্বাক্ষর নিয়েছেন। দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান সোহেল রানা।

লিখিত বক্তব্যে সোহেল রানা বলেন, আমি বসবাসের জন্য আমার বাড়ীতে একটি দালান নির্মাণ করছি। ওই দালান নির্মাণকালে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য শাহীন হাওলাদার আমার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করি আমি। এতে ক্ষুব্ধ হয় শাহীন। পরে গত ১৬ ফেব্রæয়ারী আমি ঘরের মালামাল আনতে পটুয়াখালী রওয়ারা দেই। ওই সময় সাবেক ইউপি সদস্য শাহীন হাওলাদার ও তার সহযোগী মাসুদ মৃধা, লিকন মৃধা,তোফাজ্জেল হাওলাদার ও নাফিজ আমাকে মারধর করে এবং আমার সঙ্গে থাকা তিন লক্ষ সাত হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে গাজীপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী সাবেক ইউপি সদস্য শাহীন হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনের নামে বরগুনা আইন শৃঙ্খলা বিঘœকারী দ্রæত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক এসএম শরিয়ত উল্লাহ মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করে দ্রæত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মতে আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করে এসআই (নিরস্ত্র) আলাউদ্দিনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আউদ্দিন আমার কাছে ৫০ হাজার টাদা ঘুস দাবী করেন। আমি এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনি মামলার আসামীদের সঙ্গে আতাত করেন। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তদন্ত কর্মকর্তা তাদের গ্রেপ্তার করছে না। উল্টো মামলা তুলে না নিলে আসামী মাসুম মৃধা তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এস আই আলাউদ্দিন স্বাক্ষীর জবানবন্দীর খালি ফরমে (ব্লাঙ্ক) স্বাক্ষর নিয়েছেন। তদন্ত করলেই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে।

আমতলী থানার এসআই (নিরস্ত্র) আলাউদ্দিন ঘুস দাবীর কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন ঘুস দাবী করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments