Homeঅপরাধনারী সাংবাদিককে মারধর হেনস্তার ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিক জামালের উপর...

নারী সাংবাদিককে মারধর হেনস্তার ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিক জামালের উপর সন্ত্রাসী হামলা

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের সময় নারী সাংবাদিক এবং এ্যাডভোকেট শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়,বরিশাল  এর প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিনকে মারধর হেনস্তার ভিডিও চিত্র ধারণ করলে সাংবাদিক জামাল হোসাইনকে মারধর করে সয়ম টিভির ক্যামেরাম্যান সুমন, দীপ্ত টিভি ক্যামেরাম্যান শফিক এবং পত্রিকার হকার কালুর ছেলে ইমরানসহ দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১ মে) দুপুর ১২ টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের নিচ তলায় বসে এ হামলার শিকার হয়। সাংবাদিক জামাল একই পত্রিকার বরিশাল ব্যুরোচীফ ও সরকার অনুমোদিত নিউজ টোয়েন্টি ওয়ান বাংলা টিভি’র বরিশাল ব্যুরোচীফ,বরিশাল বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ সময় হামলার প্রমাণ লোপাটের জন্য জামালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে প্রমাণ ডিলেট করে দেয় শফিক ও সুমন। কিল ঘুসি লাথি মারে পএিকার হকার কালুর ছেলে ইমরান । সূত্র জানায়, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে । যথাসময়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তথ্য সংগ্রহ করা শেষে নিচ তলায় আসামির ছবি তোলা শুরু করে নারী সাংবাদিক সাবিনা ইয়াসমিন তখন তাকে ধাক্কা মেরে বাধা দেয় সময় টিভি’র ক্যামেরাম্যান  সুমন। পরে সময় টিভির বরিশাল রিপোর্টার শাকিল সাংবাদিক জামালকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলে ও ভিডিও করে , জামালকে ওখান থেকে বের কর ওরে মেরে ফেলবো এবং হাত ধরে টানাহেচরা  করে ঢাকা পোস্ট মেহেদী। সাংবাদিক জামাল অভিযোগ করে বলে, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সংবাদ সম্মেলনের মেসেঞ্জার  গুরুপে  আমন্ত্রণ পেয়ে আমি ওই অফিসে তথ্য সংগ্রহ করতে যাই। সংবাদ সম্মেলন শেষে নিচ তলায় এসে  আসামির ভিডিও ধারণ করি। তখন আমার সহকর্মী নারী সাংবাদিক সাবিনা ইয়াসমিনকে ধাক্কা মেরে লাঞ্ছিত করে সুমন। আমি তার ভিডিও ধারণ করতে গেলে সময় টিভি রিপোর্টার শাকিল বলে ও ভিডিও করে ওকে মার এবং হুংকার দিয়ে বলে ওকে বাহিরে নিয়ে আয় ওকে মেরে ফেলবো। ও কেন ভিডিও করবে। সাথে সাথে আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করে দেয় সময় টিভি’র ক্যামেরাম্যান  সুমন ও দীপ্ত টিভির ক্যামেরাম শফিক। এর মধ্যেই কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই হকার কালুর ছেলে ইমরানসহ দুর্বৃত্তরা এসে এলোপাতালি কিল ঘুসি ও লাথি মারে এতে আমার রক্তাক্ত ফুলা, জখম হয়। সাংবাদিক সাবিনা ইয়াসমিন বলে, পুলিশ কমিশনার অফিসে সংবাদ সম্মেলনের পরে নিচতলায় আসামীর ছবি তুলতে গেলে

সময় টিভি’র বরিশাল রির্পোটারের ক্যামেরাম্যান সুমন, দিপ্ত টিভি’র ক্যামেরা ম্যান শফিক ও হকার কালুর ছেলে ইমরানসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত মারধর ও হেনস্তা করেছে।ধাক্কাদিয়ে টানাহেঁচড়া করেছে। কটূক্তি ও হুমকি দিয়েছে। আমাকে সুমন ধাক্কা মারে আমি পড়ে গিয়ে পাশের সোপায় গিয়ে বসি তাতেও সুমন ক্ষান্ত হয়নি। এরপর আমাকে মারার জন্য এগিয়ে আসে  তখন সাংবাদিক জামাল তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও চিত্র ধারণ শুরু করলে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দেয় সুমন ও শফিক এবং হকার কালুর ছেলে ইমরানসহ আরো কয়েকজন দুর্বৃত্তরা মিলে কিল ঘুসি লাথি মারে সাংবাদিক জামালকে এবং আমাকে  ভুয়া সাংবাদিক বলে জেরা করে। শাকিল ও মেহেদী এসে বলে আপনি ভুয়া সাংবাদিক।

তখন চ্যালেঞ্জের মুখে আমার আইডি কার্ড পুলিশকে চেক করতে বলি আমার কার্ড যাচাই-বাছাই করে দেখে আমি জেনুইন সাংবাদিক। হামলার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীর দাবি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে নারী সাংবাদিক সুরক্ষা আইন পাস করার দাবি জানায়। একই সাথে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানায়। ভবিষ্যতে যেন কোন নারী সাংবাদিকে মারধর হেনস্তা করতে না পারে এবং অশিক্ষিতরা ক্যামেরাম্যান ও সাংবাদিকতা যেন না করতে পারে তার ও দাবি জানায় ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments