Homeআঞ্চলিকপটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ!

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ!

আনোয়ার হোসাইন(হৃদয়) নিজস্ব সংবাদদাতাঃ

সড়কের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে থাকা বিদ্যুতের দুটি খুঁটি না সরিয়েই শেষ করা হয়েছে সেতু ও সড়কের নির্মাণ কাজ। এমন অবস্থা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের। এর ফলে ওই সড়কে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী ও যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাতসহ বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা। স্থানীয়দের দাবি-খুঁটি দু’টি সরিয়ে অন্যত্র স্থাপনের।

স্থানীয়রা জানায়, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী ও চরমার্গারেট গ্রামবাসীদের সহজে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাতায়াতের পথ এই সড়ক। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মতিনের বাড়িসংলগ্ন খালের ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। প্রায় ৬ মাস আগে ঠিকাদার সেতু ও সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করেছে। তবে সেতুর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়কের পশ্চিম পাড়ের ঢালে ও চেয়ারম্যান বাড়িসংলগ্ন সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়ে গেছে।

স্থানীয় বাহাদুর প্যাদা বলেন, এ সড়ক দিয়ে আমার মাদরাসায় অনেক শিক্ষার্থী আসা-যাওয়া করে। এর মধ্যে একটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে নিলে আমরা শঙ্কামুক্ত হবো।
চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান একে সামসুদ্দিন আবু বলেন, প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথযাত্রী ও যানবাহন চালকদের। অতি দ্রুত খুঁটিগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
এলজিইডির উপজেলা কার্যালয় জানায়, ইউনিয়ন-উপজেলা সংযোগ সড়কের অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬ মিটারের একটি সেতু ও ৩৫০ মিটার সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণকারী ঠিকাদার মেসার্স জামাল হোসেন জানান, সড়ক নির্মাণকালে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সড়কের ওপর চলে আসছে। এলজিইডি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে খুঁটি দুটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিসের কোনো তৎপরতা দেখেনি।

এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, আসলে চরমোন্তাজ ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও রক্ষাবেক্ষণে রয়েছে ভোলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ভোলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাথে যোগাযোগ করে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে ভোলার দক্ষিণ আইচা পল্লী বিদ্যুতের সাব-জোনাল অফিসের সহকারী ব্যবস্থাপক কাওসার আহমেদ বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে বিদ্যুতের খুঁটি সরানো একটু সময়ের ব্যাপার। এলজিইডির চিঠি পাওয়ার পর এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments