আনোয়ার হোসাইন(হৃদয়) নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
কালভার্টের এক পাশ ভেঙে গর্ত তৈরি হয় এক বছর আগে। এরপর দিনে দিনে গর্ত বড় হয়েছে, কিন্তু ভাঙা অংশ সংস্কার হয়নি। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন যানবাহন সাধারণ মানুষ ।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সেনের হাওলা গ্রামের পুলঘাট বাজার সংলগ্ন এলাকার একটি কালভার্টের বেহাল অবস্থান। চার কিলোমিটারের এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
সড়কের কালভার্টটি ভেঙে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ১ বছর আগে কালভার্টটির মাঝ বরাবর অনেকখানি জায়গা ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করা পথচারী ও যানবাহন চালক সহ আশপাশের কয়েক গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়ছে প্রতিনিয়ত। বিপদজনক কালভার্টের বিশাল গর্তে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টটির পাটাতনের অর্ধেক অংশের ঢালাই ধসে গিয়ে শুধু রডগুলো ভেসে উঠেছে। দেখা দিয়েছে বিশাল গর্ত। বাকি যেটুকু আছে তাও যে কোন মুহূর্তেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কালভার্টটি তিন রাস্তার মোড় সংলগ্ন হওয়ার কারণে দ্রতগামী যে কোন যানবাহনকে সহসাই গর্তের মুখে এসে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এই কালভার্টের ওপর দিয়ে যাতায়াতকালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, হাটবাজারে কৃষিপণ্য সরবরাহ করা, হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাতায়াতে কিংবা অন্যান্য কাজে বাজারের সাথে যোগাযোগ করতে প্রতিদিন এই রাস্তায় কয়েকশ মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীসহ আসা-যাওয়া করে। এছাড়াও গঙ্গীপাড়া ও সেনের হাওলা গ্রামের শত শত কলেজ পড়–য়া,মাদ্রাসা পড়–য়া সহ প্রাথমিকের গন্ডি না পেরোনো শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। প্রাণঘাতী কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগে খুব দ্রত এখানে একটি নতুন কালভার্ট মেরামতের দাবি স্থানীয়দের।
মটরসাইকেল চালক অদূত তালুকদার বলেন,এইহানে গাড়ি চালাইতে আমাগো অনেক সমস্যা হয়। যতটুকু সম্ভব সাবধানে চালাই কিন্তু অনেকেরই খেয়াল থাহে না। চলতি অবস্থায় অনেকে এসে গর্তের মুখে পড়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। আমরা চাই এইহানে নতুন একটা কালভার্ট নির্মাণ করা হউক।
উল্লেখ্য ১০/১২ বছর আগে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল প্যাদার আমলে এটা নির্মাণ করা হয়েছিলো।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য নজরুল মৃধা জানান, কালভার্টটি তো অনেক আগে নির্মান করা হয়েছে যার কারনে এটি ভেঙে এখন নাজেহাল অবস্থা। এখানে ভেঙে গর্ত তৈরি হওয়ায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাতায়াতে সমস্যা পোহাতে হয়। মোটরসাইকেলে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা আসা-যাওয়া করে। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ন। সরকারি ভাবে বরাদ্ধ কবে হয় তা সঠিক জানি না তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমি ব্যক্তিগত অর্থায়নে এটি মেরামত করে দিবো।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।