Homeঅপরাধতালতলীতে বিজয়ী প্রার্থী মিন্টুর সমর্থক কে মারধর,দোকান ভাংচুর সহ লুট

তালতলীতে বিজয়ী প্রার্থী মিন্টুর সমর্থক কে মারধর,দোকান ভাংচুর সহ লুট

বরগুনা প্রতিনিধি:-বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টুর সমর্থককে মারধর করে দোকান ভাঙচুর করে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম (২৮) গুরুতর আহত হয়েছেন এবং দোকান ঘরটি তালাবদ্ধ করে রাখারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার নলবুনিয়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত জহিরুল ইসলাম ওই এলাকার জাফর খানের ছেলে।

জানা গেছে , গত ৫ জুন তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতিকের প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টু’র সমর্থক ছিলেন উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের নলবুনিয়া এলাকার জহিরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন। নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে বিরোধিতা চলছিল ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থকদের মধ্যে। নির্বাচনে রেজবি উল কবির পরাজিত হলে তার ওই এলাকার সমর্থক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার বাদশা তালুকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য অলিসহ ৩০-৩৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জহিরুলের দোকানে হামলা চালান। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জহিরুলের মাথায় আঘাত করেন। পরে দোকান ভাংচুর করে নগদ অর্থ ও দোকানের মালামাল লুট করে। ভাংচুর দোকানটি তালা বদ্ধ করে রেখে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা আহত জহিরুলকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত জহিরুল বর্তমানে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি আনারসের সমর্থক ছিলাম। ঘোড়ার প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পরে শুক্রবার আমার দোকানে পরিকল্পিত ভাবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাদশা তালুকদার ও অলি মেম্বারের নির্দেশে রিপন তালুকদার ও জলিল হাওলাদারসহ ১০/১২ জন হামলা চালায়। প্রথমে আমাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে আমার দোকান থেকে নগদ টাকাসহ সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে দোকানটি তালা বদ্ধ করে রেখে যায় তারা। মালামাল লুট করার সময় তারা বলে যেহেতু লুট মামলা দিবি তাহলে সব কিছু নিয়ে যাই। তিনি আরও বলেন আমি যার থেকে দোকান ভাড়া নিছি তাকে হুমকি দিয়েছে যে আমাকে দোকান ভাড়া দিলে আগুন দিয়ে দোকান পুড়িয়ে দিবে। আমি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছি। এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তি দাবি করছি।
এবিষয়ে ঘোড়ার প্রতিকের সমর্থক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাদশা তালুকদার বলেন,তারা যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। তবে আমাদের এক হিন্দু কর্মীকে ওই জহিরুল মারধর করেছে। এজন্য আমার ভাইর ছেলে রিপন তালুকদার দুইটা চড়থাপ্পর দিয়েছে। তিনি আরও বলেন যেহেতু জহিরুল বেশি বেড়েছে তাই এখানে দোকান দিতে পারবে না এটা বলেছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক মনিরুজ্জামান বলেন, জহিরুলকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন, হামলার বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments