বরগুনার তালতলীতে দুবাই প্রবাসী রুবেলের ঘরে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময়, স্থানীয়দের হাতে ডাকাত দলের দুই সদস্য আটক হয়েছে। এ সময় ডাকাতদের আঘাতে প্রবাসী রুবেলের স্ত্রী ফাতেমা (৩২) ও আলমগীর হোসেন এর কন্যা আখি আক্তার(১৬) গুরুতর আহত হয়েছে। স্বজন ও স্থানীয় ছাত্রদের সহায়তায় আহতদেরকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় এবং আটককৃত দুই ডাকাতকে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের বেথিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে উপজেলার মাঠখোলা নামক স্থানে ডাকাতি ও লুটপাট বন্ধে স্থানীয়রা রাতে পাহারা দিচ্ছিল।ওই সময় পাহারাদারদের টর্চএর আলোতে ৩-৪ জন লোক দেখতে পায়। আলো দেখে ডাকাতদল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে সোহাগ (১৯) নামে একজনকে আটক করে। জানা গেছে সে নওমুসলিম তার পূর্ব নাম সজল, বরগুনা ক্রোপ স্লূইজ গ্রামের নির্মল ব্রাহ্মণের ছেলে। পরে সোহাগের দেয়া তথ্য মতে জাকিরতবক গ্রামের মৃত আমির খানের ছেলে মনির খানকে (৩৩) আটক করা হয়। এছাড়াও জাকিরতবক গ্রামের সানু খানের ছেলে নাঈম খান(২২) জড়িত আছে বলে তিনি জানান।
প্রবাসী রুবেল জোমাদ্দার এর বড়ভাই বাদল জোমাদ্দার বলেন, আমার ছোট ভাই রুবেল দুবাইতে থাকে সে কিছু টাকা ও স্বর্ণের গহনা পাঠিয়েছে। সেই খবর পেয়েই তারা রাতে ঘরে প্রবেশ করে এগুলো নিয়ে যায় এবং এলোপাতাড়ি আঘাত করে আমার ভাইয়ের বউ ও আমার এক নাতনিকে গুরুতর আহত করে।
ওই গ্রামের ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা জানান,আমাদের ওখানে একটি হিন্দু পাড়া রয়েছে তাই ওখানে রাতে পাহারা দেয়ার জন্য কিছু লোক রেখেছিলাম। তারা টর্চৈর আলোতে কিছু লোক দেখতে পায়, সন্দেহ হলে জিজ্ঞেস করতেই তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।এক পর্যায়ে ধাওয়া করে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃত ডাকাতদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন,ডাকাতদেরকে আনসারদের মাধ্যমে আমতলী কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।