Homeআঞ্চলিকআমতলীতে লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আমতলীতে লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধিঃ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগে আমতলীতে সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পৃথক পৃথক সাতটি মামলায় ৬০ জনকে আসামী করা হয়। আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান এ মামলাগুলো আমলে নিয়ে আমতলী থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে একটি মামলার বাদী মামুন হাওলাদারকে বিএনপি নেতা বাতেন দেওয়ানের ছোট ভাই জজ দেওয়ানসহ তার বাহিনী তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে আদালতের বিচারকের হস্তক্ষেপে তারা ব্যর্থ হয়।

জানাগেছে, গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশে ত্যাগ করেন। ওইদিন বিএনপি নেকাকর্মীরা আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট, জমি দখল ও ভাংচুরের মহারাজ্য গড়ে তোলে। এ ঘটনায় আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাতটি পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বন্দরে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম হাওলাদারের দোকান ভাংচুর করে ৬০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বাতেন দেওয়ানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় মামুন হাওলাদার বাদী হয়ে বাতেন দেওয়ানকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী মামুন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, আদালতে মামলা দায়েরের খবর পেয়ে আদালতে চত্ত¡রে সন্ত্রাসী বাতেন দেওয়ানের ছোট ভাই জজ দেওয়ানের নেতৃত্বে অন্তত ১০/১২ জন সন্ত্রাসী এসে আমাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে আদালতের নজরে আনা হলে আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমানের হস্তেক্ষেপে আি রক্ষা পাই। অপর দিকে আমতলী সদর ইউনিয়ন ও গুলিশাখালী ইউনিয়নে পৃথক পৃথক আরো ছয়টি মামলা হয়েছে। ওই ছয়টি মামলায় ৪০ জনকে আসামী করা হয়। আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান মামলাগুলো এজাহার হিসেবে গ্রহন করে আমতলী থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।

আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বাদী পক্ষের আইনজীবি মোঃ আরিফ-উল হাসান আরিফ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের লুটপাট, ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাগুলো আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আমতলী থাানর ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, কিছু মামলার নথিপত্র পেয়েছি। আদালতের নির্দেশ মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments