নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী ১১৪ (৪ আসনের) সাবেক এমপি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান তার স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে প্রতিবন্ধী/অসহায়/নদীভাঙ্গন ভাতা পেলেন পথধারি আওয়ামী লীগ, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী, ইউপি সদস্য সহ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। তারা সবাই প্রভাবশালী ও সচ্ছল।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সামাজিক মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সেবা) অসীম চন্দ্র বণিক স্বাক্ষরিত ১২৩ জন ব্যক্তির তালিকা দেখা যায়। এর পর পরই এটি নিয়ে উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন মহলে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক সুবিধাভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর জুন-জুলাইয়ে ইউএনও অফিস থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে কিন্তু কিসের টাকা বা কোন তহবিলের টাকা সেটি আমি অবগত নয়।
সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী মহিবুল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, এটি স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে। এটি কোন প্রতিবন্ধী ভাতা নয়। প্রতিবন্ধী ভাতা প্রতি মাসে মাসে কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়।
কুয়াকাটার সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিলের অর্থ অসহায় বা প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ হওয়ার কথা থাকলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ছত্রছায়ায় থাকা নেতাকর্মীরা সেই অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন। একটি দুঃখজনক। উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা তৈরি করেছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে প্রতিবন্ধী, অসহায়, বন্যাদুর্গত, নদী ভাঙ্গন মানুষদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন যারা পেয়েছেন এরা কোন ধরনের প্রতিবন্ধী সেটি বলতে পারছি না। এছাড়া অন্যান্য বরাদ্দ স্বাভাবিকভাবেই বন্টন করা হয়েছে।