বরগুনা প্রতিনিধি: হত্যা চেষ্টা মামলার স্বাক্ষী সোহেল মল্লিককে (৩০) পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত সোহেল মল্লিক অভিযোগ করে বলেন, মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় তাকে স্বপন পাহলানের সহযোগী সবুজ পাহলান, ফিরোজ হাওলাদার ও জুলহাস পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওইদিন রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় তালতলী উপজেলার হেলেঞ্চাবাড়িয়া গ্রামে।
জানাগেছে, তালতলী উপজেলার হাড়িপাড়া গ্রামের স্বপন পাহলান ও নজরুল পাহলানের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমি নিয়ে গত ১৯ আগষ্ট দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ তালতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নজরুল পাহলানের পক্ষে সোহেল মল্লিককে স্বাক্ষী করা হয়। মামলার স্বাক্ষী হওয়ার ক্ষিপ্ত হয় স্বপন পাহলান ও তার সহযোগীরা। শনিবার সন্ধ্যায় সোহেল মল্লিক বাড়ী থেকে হাড়িপাড়া যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হেলেঞ্চাবাড়িয়া নামক স্থানে তাকে আটকে স্বপন পাহলানের সহযোগী সবুজ পাহলান, ফিরোজ হাওলাদার ও জুলহাস পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত সোহেল মল্লিক বলেন, মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় আমাকে আটকে স্বপন পাহলানের সহযোগী সবুজ পাহলান, ফিরোজ হাওলাদার ও জুলহাস পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আহত সোহেল মল্লিককে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তালতলী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।