শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটুক্তি করায় এক যুবক গনপিটুনিতে নিহত হয়েছে ।
উৎসব মন্ডল (১৮) নামে ওই যুবককে বুধবার (৪সেপ্টেম্বর) রাতে উত্তেজিত জনতা পিটিয়ে মেরে ফেলে। নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার দ্বিতীয় ফেজে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খুলনার আযমখান সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র উৎসব মন্ডল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করে। সন্ধ্যায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে ধরে নিয়ে খুলনার মেট্রোপলিটনের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) তাজুল ইসলামের কার্যালয় নিয়ে আসে। সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সেনা বাহিনী ও নৌ-বাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাকে বের করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা তাকে গনপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
আযম খান কমার্স কলেজের ছাত্র আরিফ বলেন, ‘ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে, এতো সাহস কোথায় পায়? যে আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করে। ওকে আমি আগে সাবধান করছি। ও আমার কথা শুনেনি।’
সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও ছাত্র রুহুল আমিন বলেন, সে যে ভাষায় গালিগালাজ করছে নবী করিম সাঃ কে মানুষ মানুষকেও এ ভাষায় গালিগালাজ করে না।
এসময় টহলে আসা সেনা কর্মকর্তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য জনগনকে আশ্বস্ত করেছিলাম। তবে উত্তেজিত জনতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, কলেজছাত্র উৎসব মন্ডল মহানবীকে (সা.) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটুক্তি করেন। বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে খুঁজে বের করে ধরে নগরীর সোনাডাঙ্গায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (সাউথ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে শত শত লোক গিয়ে ওই কার্যালয় ঘেরাও এবং বিক্ষোভ শুরু করে।
ক্ষিপ্ত জনতা কটুক্তিকারীকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে শান্ত করার প্রাণপণ চেষ্টা করেন।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সাউথ) তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আটক উৎসব মন্ডলের বিরুদ্ধে মামলা এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে আইনশৃংখলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদেরকে আশ্বাস করা হয়েছিলো। পরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় সে মারা যায়।