সাইফুল্লাহ মাহমুদ, কলাপাড়াঃ
০৫ নভেম্বর ২০২৪ঃ দেশে জ্বালানি সুশাসন, সবুজ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি, সবুজ কর্মসংস্থান, ন্যায্য ও সবুজ জ্বালানি রূপান্তরে নারীদের অংশগ্রহন, জ্বালানি দক্ষতা, জ্বালানি সংরক্ষন, পরিবেশ ও জনপদের সুরক্ষার সহ ন্যায্য জ্বালানি রুপান্তরে ১৪ দফা নাগরিক দাবির প্রতি নীতিনির্ধারকদের দৃস্টি আকর্ষন করার জন্য ০৫ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ৯ঃ৩০ টায় কলাপাড়ায় আন্দারমানিক নদীর তীরে (হেলিপ্যাড মাঠে) অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করেছে জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক (জেটনেট বিডি), কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চ, একশনএইড বাংলাদেশ এবং প্রান্তজন।
অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চের সদস্য সচিব মনোয়ারা বেগম, সদস্য মেজবাহউদ্দিন মান্নু, এস এম মোশারফ হোসেন মিন্টু, অমল মুখাজীর্, মোসাঃ দুলালী এবং কবির তালুকদার।
বক্তারা বলেন নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব বুঝে ও ১৪ দফা নাগরিক দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বিশেষ করে বরিশাল অঞ্চলকে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর থেকে মুক্ত করে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে এগিয়ে নিতে হবে। তারা আরো বলেন দেশে জ্বালানি সুশাসন, সবুজ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি, সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
জনাব মেজবাহউদ্দিন মাননু বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের জন্য আমরা সামাজিক আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমরা চাই, কয়লাভিত্তিক সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চের সদস্য এস এম মোশারফ হোসেন মিন্টু বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি দিন দিন বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমাদের পরিবেশ রক্ষা করবে, শক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং দেশের অর্থনীতির বিকাশ ঘটাবে। তিনি আরো বলেন প্রস্তাবিত জাতীয় জ্বালানি রুপান্তর নীতিমালার ভিত্তিতে, ন্যায্য জ্বালানি রুপান্তর নিশ্চিত করার লক্ষে আইনি কাঠামো ও বিধিমালা প্রনয়ন করতে হবে। একই সাথে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে মোট ব্যবহার্য জ্বালানির ৩০ শতাংশ, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ১০০ শতাংশ নবায়নযোগ্য ও সবুজ জ্বালানিতে রুপান্তরের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তাবায়নে আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরী করতে হবে।
বক্তরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরও বেশী বিনিয়োগ করতে, নীতিগত সহযোগিতা দিতে এবং জনগনকে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। তারা আরো বলেন জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে নিঃসৃত কার্বনের পরিমান কমানোর জন্য প্রকৃত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন, যা শুধুমাত্র নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমেই সম্ভব।
জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক জেটনেট—বিডি ও তার দেশব্যাপী সদস্য সংগঠনগুলোর উদ্যোগে পালিত হচ্ছে “১৪ দফা, ১৪ দিন; ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর আন্দোলনে যোগ দিন” শীর্ষক ১৪ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন কার্যক্রম। ১ নভেম্বর, ২০২৪ থেকে শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত ক্যাম্পেইন টি কার্যক্রম অনলাইন ও অফলাইন উভয় প্ল্যাটফর্মে পরিচালিত হচ্ছে যেখানে নাগরিক দাবির ভিত্তিতে ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানি রূপান্তরের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।